নান্দাইলে গরু চুরি মহামারি আকার ধারণ করেছে, কৃষকরা আতংকে


deshlive প্রকাশের সময় : মে ৭, ২০২৪, ৭:২০ পূর্বাহ্ন /
নান্দাইলে  গরু চুরি মহামারি আকার ধারণ করেছে, কৃষকরা আতংকে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে গরু চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ মে রাত পর্যন্ত অন্তত ১৫টি গরু বিভিন্ন কৃষকের গোয়াল থেকে খোয়া যায়। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ৮টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আতাউর রহমান বাচ্চু তার ফেসবুকে জানান, বিগত এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত উপজেলার মুশুলী ইউনিয়ন থেকেই ১৯টি গরু চুরি হয়। এরমধ্যে চকমতি গ্রামের হাজী মরহুম নূরুল ইসলামের ৫টি , ইন্দারগাতী গ্রামের এক রাতে আব্দুল গণি ভূঁইয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্করের ৪টি , পার্শ্ববর্তী অন্য একটি বাড়ি থেকে ৬টি, কাউয়ারগাতী গ্রামের আতাহারের ২টি ও মহনপুরে ২টি।

তিনি মুশুলী ইউনিয়নের একটা পরিসংখ্যান দিলেও উপজেলার বাকি ১২টি ইউনিয়নেও গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। তন্মধ্যে শনিবার (৪ মে) দিনগত রাতে গাংগাইল ইউনিয়নের চর গাংগাইল গ্রামের জহিরুল ইসলামের একটি গাভী চুরি হয়। একইদিন পাশের বাড়ির নূরু মিয়ার গরুও চুরির চেষ্টা করা হয়। পরে ব্যর্থ হয়ে ছেড়ে রেখে চলে যায়।

রোববার (৫ মে) দিনগত রাতে একই ইউনিয়নের পূর্ব অরণ্যপাশা গ্রাম থেকে এক কৃষকের দুটি গরু চুরি হয়। সর্বশেষ সোমবার (৬ মে) দিনগত রাতে একই গ্রামের মেস্তুরি বাড়ির মাসুদ মিয়ার একটি গরু চুরি হয়। তার ভাই শহীদ মিয়ার একটি গরু চুরির চেষ্টা চালায়। একই গ্রামের আরও এক কৃষকের ৩টি গরু চুরির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর বাইরে ছেড়ে চলে যায় চোরেরা।

নান্দাইলে গরু চুরি ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে অনেকেই গরুর সাথে গোয়ালঘরে কষ্টকর রাত্রিযাপন করছেন। অনেকেই গরুর গলায় ও গোয়ালঘরে বড় তালা ঝুলিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

চুরি বৃদ্ধির বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাশেম জানান, আমাদের ৩টি দল সারারাত জেগে টহল দিচ্ছে। আমরা একদিকে গেকে চোরেরা অন্যদিক দিয়ে এসে অপরাধ সংঘটিত করে ফেলছে। আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ৮টি গরু উদ্ধারও করা হয়েছে। যেকোনো অপরাধ দমনে জনসচেতনতা খুবই জরুরি।

এদিকে শুক্রবার (৩রা মে) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে নরসিংদীর বেলাব থেকে চারটি ও কিশোরগঞ্জ সদর থেকে চারটি সহ আটটি গরু উদ্ধার এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ভটভটিও জব্দ করে নান্দাইক মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার পারদা গাবতলী এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে গোলাপ মিয়া (৪০), পাতালজান এলাকার জালু মাহমুদের ছেলে মো. রাশিদ (৪৬)।
শনিবার (৪ মে) গ্রেফতারকৃতদের ময়মনসিংহ বিজ্ঞ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান নান্দাইল মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ।

দেশ লাইভ/স্বজন