৬ মাসে লিবিয়া থেকে ১২৪৫ বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন


deshlive প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪, ৭:০২ অপরাহ্ন /
৬ মাসে লিবিয়া থেকে ১২৪৫ বাংলাদেশির প্রত্যাবাসন

দেশলাইভ ডেস্ক: লিবিয়া থেকে নতুন করে ১৩৯ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৪৫ নাগরিককে আইওএম এর সহায়তায় লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। এই সংখ্যা তার আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি।

লিবিয়া থেকে বাংলাদেশিদের ফিরে আসার সংখ্যা বাড়ছে। ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘পর্যায়ক্রমে লিবিয়ায় বিপদগ্রস্ত ও আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের অংশ হিসাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় বেনগাজি থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে ১৩৯ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।’

লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে তারা ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আইওএম এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে দূতাবাস নিয়মিত লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে আটক বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা করছে।’

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছানোর আশায় অনেক বাংলাদেশি বিভিন্ন উপায়ে লিবিয়াতে আসেন। অনেককে আটক করে মানবপাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে। অনেকে বন্দি হন।

এমন আটক ও বিপদে পড়াদের দেশে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার অংশ হিসেবে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটে এক হাজার ২৪৫ জনকে ফেরত আনা হয়েছে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এই সংখ্যা ২০২২ সালের সারা বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। আইওএম-এর স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অধীনে সে বছর ফেরত এসেছিলেন এক হাজার ১০২ জন। আর ২০২১ সালে এসেছেন ৮১৫ জন।

দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ জানুয়ারি ত্রিপোলির তারিক মাতার ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৩১ জনকে ফেরানো হয়। ২১ ডিসেম্বর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে ফিরেছেন আরও ১৪০ জন। তাদের মধ্যে ২৭ জন বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর ফেরত আসা ১৩৬ জনের মধ্যেও ৩৩ জন এই আটক কেন্দ্রটিতে ছিলেন। বেনগাজিতে আটক আরও ১৪৫ জনকে একটি ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫ ডিসেম্বর। এছাড়া নভেম্বরের ২৭ ও ৩০ তারিখে দুইটি ফ্লাইটে ত্রিপোলিতে বন্দি থাকা ২৫৩ জন ফেরত এসেছেন।

বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটকসহ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিপদগ্রস্ত ১৫১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ৪ সেপ্টেম্বর দেশে পাঠানো হয়। ত্রিপোলির ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৩১ জন মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে ফেরেন ৩১ জুলাই।

দূতাবাস জানিয়েছে, তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের পর ত্রিপোলি ও বেনগাজির বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করেন। পরে তাদের আইওএম-এর কাছে নিবন্ধনের মাধ্যমে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

দেশলাইভ/এসআর